😐😑স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট😑😐 লেখা : অনিক হাসান

>>পরিবারের ৪ ভাইয়ের মধ্যে পরিবারের বড় ছেলে 
-রায়হান।
-ছোট বেলা থেকেই খুব নম্র ভদ্র এবং নীতিবান ছেলে 
-হিসেবে সবার কাছে পরিচিত।
-অতি দারিদ্রতার সাথে জীবনযাপন করে তারা।
>> পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি হল তার
-বাবা।
-খুবই পরিশ্রমী একজন মানুষ।
-দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে পরিবারের সবার মুখে
-দু-বেলা খাবার যোগায়।
->>হঠাৎ করেই তিনি প্যারালাইসেন্সে আক্রান্ত হন।
>>এমন সময় পরিবারের হাল ধরেন রায়হান।
-একদিকে অসুস্থ বাবার চিকিৎসার খরচ অন্যদিকে
-পরিবারের সব খরচ এবং তার লেখাপড়ার খরচ।
-কি দিয়ে কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না
-রায়হান।
>>দিনে পরিশ্রম করতেন আর রাতে পড়াশুনা করতেন।
-রায়হান খুব কষ্টে তখন এইচএসসি পাস করেন।
-তার মায়ের খুব স্বপ্ন যত কষ্ট করে হলেও তার সন্তান
-যেন সমাজের উচ্চ মঞ্চের আসনে বসতে পারে।
>>সারাদিন পরিশ্রম করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির 
-প্রস্তুতি টিক ভাবে না নিতে পারায় কোন পাবলিক 
-বিশ্ববিদ্যলয়ে আর ভর্তি হতে পারেনি রায়হান।
>>গ্রামের কোন এক ন্যশনাল ভারসিটিতে ভর্তি হয়
-তখন।
>>একদিকে লেখাপড়া অন্যদিকে পরিবারের ভরন
-পোষণ।
>>এর মধ্যেই তার বাবা মারা যায়। উন্নত চিকিৎসার
-অভাবে।
>> পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
>>কি দিয়ে করবে নিজেকেই সামলাতে পারছিলো না
-রায়হান।
>> দেখতে দেখতে কেটে যায় পাঁচটি বছর।
- এরি মধ্যে রায়হান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ 
-করেছে।
- শুধুমাত্র একটি চাকরির আশায় সবখানে দৌড়ায়।
>>সর্বনাশা নদী ভাঙনে কেরে নেয় তাদের ভিটে মাটি।
-তাদের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
-তারা আশ্রয় নেয় তাদের নানা বাড়িতে।
>>কয়েক মাস পর--------- রায়হান একটি সরকারি 
-চাকরির পরিক্ষা দেয়ার জন্য রওনা হয় ঢাকার 
-উদ্দেশ্যে।
>>লঞ্চে করে ঢাকা যাচ্ছে রায়হান। রাত হয়ে গিয়েছে
-কিন্তু চোখে ঘুম নেই একটুও রায়হানের।
-বসে বসে ভাবতেছে 💭রায়হান এইবার যদি তার 
-চাকরিটা হয়েই যায় তাহলে আর কোন অভাব তাদের 
-থাকবে না।
>>তার মায়ের স্বপ্ন সে পূরন করতে পারবে।
-তার ছোট ভাইগুলোকে ভালো কোন স্কুল কলেজে 
--ভর্তি করতে পারবে।
>>এইসব ভাবতে ভাবতেই কখন যে রায়হান ঘুমিয়ে 
-পরে নিজেও জানে না।
>> ঢাকা পৌছিয়ে রায়হান নিজের সর্বোচ্চ প্রস্তুতিটা
- নেয়। যাতে এইবার তার চাকরিটা হয়ে যায়।
>>পরিক্ষার দিন খুব সকালে রায়হান ঘুম থেকে উঠে
- নামাজ পরে সময় মত চলে যায় পরিক্ষার হলে।
>>হলে গিয়েই শুনতে পেল প্রশ্ন ফাসের কথা।
>>কয়েকজন বড়োলোক বাপের আলালের ঘরের
- দুলালরা রাতেই মোটা অংকের টাকা দিয়েই প্রশ্ন কিনেছে।
>>হঠাৎ করেই রায়হান স্তব্ধ হয়ে গেল।
-মনে হল থমকে গেল তার জিবন।
>>রায়হান শুধু ভাবছে তার সততা এবং মোটা অংকের -টাকাই তার আর চাকরি পাওয়াটা হল না।
>>এখন সে পথ ভ্রষ্ট তার হয়তো জানা নেই এখন কোন -পথে হাটবে সে।
>> এভাবেই আমাদের দেশের হাজার হাজার যুবকের 
-স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যাচ্ছে।
>>ঠিক এমন সময়ে স্বপ্ন ভাঙার কষ্টে অনেকেই আবার 
-উল্টো পথে হাটা শুরু করে।
>>আবার এমনও হয় চাকরির জন্য মোটা অংকের টাকা -না দিতে পারায় চাকরির মুখ আর তারা দেখতে পারে 
-না।
📋এই হচ্ছে আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা। হাজারও -যুবক আজ স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট টা বুকের মধ্যে চেপে ধরে -বেঁচে আছে। জানিনা এর থেকে কবে মুক্তি পাব
-আমরা।😥😥
________সমাপ্ত________