(অন্যরকম ভালোবাসা) লেখা:অনিক হাসান

>>৩০/০৫/১৯৯৮
দিনটা আমার জন্য একটা বিশেষ দিন ।
>>আজকের এই দিনে আমার জন্ম হইছিল ১৯৯৮ সালে আর আজকেই আমার এসএসসি রেজাল্ট দিবে।
>>অনেক আশা নিয়াই রেজাল্ট আনতে গেছিলাম রেজাল্ট আশানরুপ না হওয়ায় আব্বুর ভয়ে বারিতে আর গেলাম না
পরে জানতে পারলাম আমাদের জেলার সব কমার্স গ্রুপ রেজাল্ট খারাপ হইছে,, পরে আমাকে বেশি কিছু না বলে ঢাকায় পাঠাই দিলেন সাত রোজাতেই,, তারপর বাংলাদেশের কোনো এক খ্যতনামা বেসরকারি কলেজে ভর্তি করালেন,,,
>>আমি এর মধ্যে সার্কেলে একাউন্ট খুলি আমার আইডির নাম দিলাম হাশর
>>আমি কারও সাথে চ্যাট করতাম না কারন আমি পয়েন্ট কিনতাম না।
>>হঠাত একদিন আমার আইডিতে একটা এসএমএস আসে দিনটা ০১:০৭:২০১৫ আমি তাকে একটা রিপ্লে দিলাম যে আমার পয়েন্ট নাই তুমি আমার নাম্বার নাও আমি ফোনে কথা বলব
তারপর আমি আমার নাম্বার টা ওকে দিলাম।
>>রাত ১১ টার সময় আমার ফোনে একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে মিসকল আসে আমি ব্যাক করলাম কিন্তু কেউ কথা বলল না।
>>আবারও রাত ১২ টায় একই ঘটনা,,
পরদনি সকালে আমার ৮টায় ক্লাস ছিল তাই ঘুমালাম তখন।
>>সকালে আমি কলেজে চলে গেলাম।
>>এসে আমি ওই নাম্বারএ কল দিলাম।
>>তারপর একজন ফোন রিসেভ করল আমি তার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম সে আমাকে মিসকল দেয়নি তার ছোট বোন দিছে তারপর আমি তাকে বললাম তার বোন স্কুল থেকে আসলে যেন আমাকে কল দেয়।
>>বিকাল ৪ টায় আবার মিস আমি ৫:৩৫ এ ব্যাক করলাম তখন তার ছোট বোন দরল পরে আমি তার পরিচয় নিলাম সে কেন আমায় কালকে কল দিল পর জানলাম আমি যাকে সার্কেলে নাম্বার দিছি সেই উনি।
>>আমি এই ফাস্ট কোনো মেয়ের সাথে কথা বলি,,প্রায় ৩০ মিনিট কথা বললাম ।
>>কথা বলে জানতে পারলাম তার ফোন নেই তার বান্ধবিরা তাকে আমার আইডি কি ছেলে না মেয়ে এইটা জানতে বলছিল তাই সে আমাকে এসএমএস দিছে তার বোন এর ফোন থেকে।
>>মেয়েটার নাম হল সুইটি
ওরা ৫বোন ও সবার ছোট।
>>তারপর আমি তার বোন এর ফোন এ কল দিতাম আর ওকে দিতে বলতাম।
>>পরে এইভাবে ওর সাথে কথা বলতে বলতে ওর বন্ধু হয়ে গেলাম ।
>>এই ভাবে আমাদের কথা চলতে থাকে ।
তারপর যখন আমি ওর প্রতি দুরবল হতে থাকি তখনই ওর বারি থেকে ওকে ফোন ধরতে নিষেধ করে দিল ।
>>ওর বোন আমাক ফোন দিতে নিষেধ করল আমি আর দেইনি ।
>>১৫ থেকে ২০ দিন পর আবার ও ওর মায়ের ফোন থেকে মিসকল দেয়
আমি তখন নাম্বার চিনতে পারলাম না পরে আমি ব্যাক করলাম,,
আমি চিনতে পারলাম না ওকে তারপর ও পরিচয় দেয়ার পর ওকে বললাম তুমি এতদিন আমার খোজ নাও নাই কেন ।
>>তারপর ও আমাকে সব কিছু বলল কেন দিতে পারে নাই আর ও আমাকে যখন ফোন দিতে বলত তখন দিতাম।
>>এইভাবে চলতে থাকার পর আমি ওকে প্রোপোজ করলাম
ও আমাকে পরে উত্তর দিবে বলে কিন্তু উত্তর আর দেয় না তারপর আমি উত্তর জানতে অনেক জোর করলাম ও বলে যে ও আমার সাথে প্রেম করতে পারবে না আর বলে যে ওদের পরিবারকে নাকি আমাদের পরিবার কোনোদিন মেনে নিবে
না তারপর আমি সারাদিন কিছুই মুখে দেই না আর সার্কেলে একটা এস্টাটাস দেই যে প্রিথিবী়তে ভালবাসা মানে না কোন ধনি গরিব৷
মানে না কোনো বয়স৷ ভালোবাসা হয় দুটি মনের মিলনে তারপর ও আমার প্রতি দুরবল হতে থাকে,,
>>এই ভাবে শুরু হয় আমাদের কাহিনি।
>>একবার চিন্তা করছেন এইটা কিভাবে সম্ভব আমি ওকে কোনোদিন দেখি নাই ও দেখে নাই।
>>প্রতিদিন আমরা সারারাত কথা বলতাম,,,
এর পর আমি ওর ছবি চাইলাম কিন্তু ছবি পাবার কোনো মাধ্যম ছিল না তাই দিতে পারলনা ,,,
>>খুব ভালবাসি ওকে তাই হয়তবা ঝগরাও করি প্রতিদিন।
>>সবসমই ওকে দেখতে ইচ্ছা করে কি করব আমিও যে ওর সাথে দেখা করার কোনো সুযোগ পেলাম না ।
>>বলতে পারেন একজন টেকনাফ আর অন্য জন তেতুীলিয়া,,
>>ওর মামাতো বোন এর বিএফ এর মাধ্যমে ও আমাকে ওর ছবি পাঠায় আনেক কষ্টে ,,,দিনটি ছিল ১০ জানুয়ারি ২০১৬
আমি বিশ্বাস করতে পারি
>>নাই ওর ছবি দেখে ।
এরপর থেকে আমি ওকে আরও বেশি ভালবাসতে থাকি।
>>এইভাবে চলতে থাকে ,,,,,
আমি ওকে বিয়ে করব (,,,,)বছর পর
ও বলে ও আমার জন্য সারাজিবন অপেক্ষা করতে পারবে কিন্তু আমার পরিবার কি পারবে?
>>ও যেভাবে হক পারবে আর পারতেছে,,, যারাই ওকে দেখতে আসে ও তাদের কেই বলে যে ও অন্য কাউকে ভালোবাসে
আমার একটা
সুযোগ আসে তখন আমার ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ একবার আমাকে ম্যানেজ করি আর একবার ওকে কিছুতেই কিছু করতে পারছিলাম না ।
>>আমি বাড়ি থেকে ৯ এপ্রিল ২০১৬ এ ঢাকায় আসব।
ভাবছি ১০ তারিখ ওদের ওইখানে যাব এরপর আমি ঢাকায় এসে ওর জন্য একটা আংটি কিনি ভাবছিলাম ওকে নিজ হাতে পরিয়ে দেব ।
>>আর কোনো এক কারনে যখন যাবার কথা তখন যেতে পারলাম না ও আমাকে ভুল বুজে আমার সাথে কথা বলে না ।
>>ও ভাবছে আমি ওকে ধোকা দিছি।
আমার সাথে আমার যে বন্ধুর যাবার কথা ছিল ও যেতে পারবে না বলে আমাকেও যেতে দিবে না বলে আমি ওখানে একা গেলে আর জীবিত ফিরতে পারব না,,
>>তারপর আমি ওই খানে যাবার গাড়ি আর স্টেসন খুজতে থাকি অনেক চেস্টার পর পেলাম তখন আমার পরনে ময়লা একটা টি-শার্ট ছিল।
>>বলল গাড়ি ৪টা
৩০ এ ছারবে তখন ৪টা১৮ বাজে তাই আমি বাসায় না গিয়ে ওই ওবস্থায় রওনা হলাম ।
>>আমি ওদের শহরে পোছালাম রাত ১:১০ এ আমার যেখানে যাবার কথা সেখান থেকে ১৮ কিলোমিটার দুরে আমি ফাস্ট একটা সিএনজি নিলাম যাবার জন্য কিন্তু সে সিএনজি চালাইতে ছিল না।
পরে আমি আরেকটি সিএনজিতে করেচলে গেলাম সে আমাকে বলল ওই সিনজি আমাকে খারাপ কিছু করতে পারত।
>>জীবনের প্রথম রিস্ক নিলাম তাও আবার ভালোবাসার জন্য
আমার পৌছাতে ১টা৩০ বেজে গেল রাত।
>>এরপর শুধু অপেক্ষা করতে লাগলাম যে কখন দেখা হবে,,,
>>এখন বুজলাম সুধু সিনেমাতে নয় ভালোবাসার জন্য যে কোন কাজ করতে পারে।
>>ওর সাথে দেখা হল ১২ এপ্রিল ২০১৬ তে।
>>জিবনে প্রথম বার ও আমাকে দেখেই জরিয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে দিল।
>>৪০ মিনিট ছিলাম ৩৫ মিনিটই ও জরিয়ে ধরে কাদছে
তারপর পর ওদের ওই খানে আমাকে নিয়ে একটা সমস্যা হয়ে গেল আর আমাকে মারতে কেই আসতেছে এর পর আমার ওই খান থেকে চলে আসতে হল।
>>আমাদের প্রথম দেখা আর এখন প্রযন্ত শেষ দেখা ওইটাই কারন এরপর আর আমাদের দেখা হয় নাই
এই ভাবে চলতে থাকে,,,
এখন ১টা সেকন্ডও ওকে ছাড়া ভাবতে পারিনা,,ও আমাকে বলে আমি কেন এত বেশি লাভ করি ওকে
আসলে জিবনে কোনোদিন কাউকে ভালোবাসি নাই তো আর কোনো মেয়ের দিকে তাকাতে পারি নাই তো তাই যাকে লাভ করি আমার সবটুকু দিয়েই করি তাকে ছাড়া কিভাবে ভালো থাকা যায় তাকে লাভ করার পর শিক্ষিনাই এখনও ।
>>তোর সাথে ঝগরা করতে কেন ভাললাগে জানিস ঝগরা করার পর তুই যে আমার রাগ ভাঙ্গানোর জন্য বেকুল হয়ে পরস তা দেখার জন্য বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছি যে তোকে,,,.
>>ও হ্যা আমার পরিচয়টা দিতেই তো ভুলে গেছি ।
আমি Arfin Hasan Anik,,
আর যে মেয়েটির কথা বলেছি ওর নাম
Roksana Akter Sweety..
ওএখন অনেক ওসুস্থ ওর একটি অপারেশন করা লাগবে করলে বাঁচতেও পারে আবার নাও পারে সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।
>>আমার ভালবাসা ওর কিছু হতে দিবে না
সবাই ভালো থাকবেন আর ভালোবাসাকে ভালবাসবেন।
💙💛💝💖💟💚💗

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ